ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা সিঙ্গাপুর নেয়ার মতো স্থিতিশীল নয়

গতকাল ফজরের নামাজ আদায়ের পর হঠাৎ বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন ওবায়দুল কাদের। স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রæত এনজিওগ্রাম সম্পন্ন করেন। এনজিওগ্রামে ৩টি বøক ধরা পড়ে। দ্রæত মেডিকেল বোর্ড গঠন করে একটি বøকে রিং পড়ানো হয়। এসময়ওবায়দুল কাদেরের অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকরা তার কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করেন।
এসময় রাজশাহী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদেরের অবস্থার অবনতির কথা জেনে তিনি ঢাকা ফিরেই হাসপাতালে ছুটে যান। তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। ওবায়দুল কাদেরের নাম ধরে ডাক দেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেন তিনি। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত সিঙ্গাপুর পাঠানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। চারজনের একটি মেডিকেল টিম এয়ার এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকায় পৌঁছে। তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিঙ্গাপুর থেকে আগত চিকিৎসকরা স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। রাতেই ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেয়া হতে পারে।
ওবায়দুল কাদেরে সংকটাপন্ন অবস্থা জেনে উৎকণ্ঠা নেমে আসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করার দশ ঘণ্টা পর তার অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিং করেন কার্ডিওলজির অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন অনেকটাই স্ট্যাবল। চোখ খুলছেন, কথা বলার চেষ্টা করছেন। পা নাড়াচ্ছেন। তবে তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তিনি এখন যে স্ট্যাবল অবস্থায় আছেন, এ অবস্থা কিছুক্ষণ থাকলে তার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য দুই ধরনের সিদ্ধান্ত হতে পারেÑ থেরাপি অথবা বাইপাস সার্জারি। আলী আহসান বলেন, এনজিওগ্রাম করানো হলে তার তিনটি আর্টারিতে বøক পাওয়া যায়। তার আগে থেকেই ডায়াবেটিস ছিলো, সেটিও এসময় একদমই অনিয়ন্ত্রিত ছিলো। এ অবস্থায় আমাদের দ্রæত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নেই, তার হৃদযন্ত্রের বাম পাশের প্রধান যে ধমনী, যেটাকে আমরা এলএডি (লেফট অ্যান্টেরিয়র ডিসেন্ডিং) আর্টারি বলি, সেটা খুলে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে পিসিআইয়ের (পারকিউটেনাস করোনারি ইন্টারভেনশন) মাধ্যমে তার ওই ধমনীতে স্টেনটিং (রিং পরানো) করা হয়। তবে তার রক্তচাপ ওঠানামা করছে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত
ঢাকা: কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ১২ জন বিচারপতি করোনা আক্রান্ত হও…