দিল্লির সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
মাইফুল ইসলাম মাহিঃ দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী জিন্নাতুন বাকিয়ার (৫৮) মৃত্যুর ঘটনায় এবার হাসপাতালের কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্জন ডা. ভিজি রাজকুমারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন।
তিনি অভিযোগ তুলেছেন, চিকিৎসায় ডা. ভিজি রাজকুমারীর চরম অবহেলা, উদাসীনতা এবং অপেশাদার সুলভ আচরণের কারণেই জিন্নাতুনের মৃত্যু হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যানকে লিখিত এ অভিযোগ দেন তিনি।
একই সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়াসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিল্লি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. গিরিশ তিয়াগীর কাছেও একটি লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন সাংবাদিক আজমল।

অভিযোগে আজমল উল্লেখ করেছেন, অসুস্থ স্ত্রী জিন্নাতুন বাকিয়ার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য ২২ অক্টোবর তাকে ডা. ভিজি রাজকুমারীর তত্ত্বাবধানে দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করান। অপারেশনের পর ২৮ অক্টোবর জিন্নাতুন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান। এর মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু রুটিন পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেলে ১১ নভেম্বর তার স্ত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। বাড়িতে চিকিৎসা চলাকালে ২০ নভেম্বর তার স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে অ্যাপোলো হাসপাতালের করোনা আইসিইউতে নেয়া হয়।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, স্ত্রীর সংকটাপন্ন অবস্থায় কোনো নির্দেশনা না দিয়েই চেন্নাই সফরে চলে যান ডা. রাজকুমারী।
পরে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে ওই চিকিৎসক দিল্লিতে ফিরতে বাধ্য হন। ফিরেই রোগীর সেবায় চরম অবহেলা ও উদাসীনতা দেখান। রোগীর স্বজনদের অসহযোগিতাসহ ব্যক্তিগত আক্রমণ করা শুরু করেন। অপেশাদার ও অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হতে হয় তার স্ত্রীকে। তাছাড়া দোভাষী না থাকায় কর্মচারী ও নার্সদের সহযোগিতাও ছিল না।
অন্যদিকে চিকিৎসকের এমন ব্যবহারে আজমলের স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রতিস্থাপিত কিডনিতেও দেখা দেয় সমস্যা। ফলে ৯ ডিসেম্বর স্ত্রীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এ সময় ডা. রাজকুমারী পাশেও থাকেননি এমনকি কোনো ধরণের সহায়তাও করেননি। এ পরিস্থিতিতে ১১ ডিসেম্বর মারা যান জিন্নাতুন।
সাংবাদিক আজমল আরো অভিযোগ করেন, চিকিৎসার আগে ১৮ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও স্ত্রীর মৃত্যুর পর ৩৩ লাখ টাকা বিল দাবি করা হয়। এর মধ্যে ডা. রাজকুমারীর ব্যক্তিগত সচিব দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ৩৩ হাজার টাকা ঘুষও নেন।
পরে স্ত্রীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করলে সাংবাদিক আজমলকে হুমকি দেন ডা. রাজকুমারী।
অবহেলায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে সাংবাদিক আজমল চিকিৎসা বিষয়ে হাসপাতালে দেয়া সব টাকা ফেরত চেয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এর আগে সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। স্ট্যাটাসে ডা. ভিজি রাজকুমারীর চরম অবহেলা, উদাসীনতার কারণেই তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
একইভাবে তিনি দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালসহ ভারতের ৪৫টি হাসপাতাল পরিচালনাকারী রেড্ডি পরিবারের ব্যবসায়ী স্বার্থপরতা ও লোভ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে রা…