বাইডেনের জয় ঠেকাতে একাট্টা ১১ সিনেটর
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তারা ইলেকটোরাল ভোট গণনায় আপত্তি উপস্থাপন করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় বলেছেন, সত্য জানার পর এরা এগিয়ে এসেছেন। আরও সত্য বেরিয়ে আসছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন , দেশ এসব আইনপ্রণেতাদের নাকি মনে রাখবে! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো মনে করছেন, নির্বচনের ফলাফল তিনি পাল্টে দেবেন।
প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ এবং অন্যান্যরা শনিবারে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের ফলাফলের ওপর কংগ্রেসে আপত্তি জানাবেন। নির্বাচনের ওপর ১০ দিনের নিরীক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা ফলাফল মেনে নেবেন না বলে যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন।
কংগ্রেস একটি ইলেকটোরাল কমিশন গঠন করে তদন্ত করবে এবং নির্বাচনে বিরোধের রাজ্যগুলোর আইনপ্রণেতাদের ইলেকটোরাল ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা দেবে বলে তাঁরা তাঁদের যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
শুধু ১১ জন সিনেটরই নয়, ধারণা করা হচ্ছে প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্প–সমর্থক এমন আরও শতাধিক আইনপ্রণেতারা ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল নিয়ে ৬ জানুয়ারি আপত্তি ওঠাবেন। এমন আপত্তি ওঠানোর মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে যাবে, এমন কেউ এখনো মনে করছে না।
এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তাদের প্রস্তুতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন জো বাইডেন।
উল্লেখ্য, সিনেটর টেড ক্রুজকে আমেরিকার সাংবিধানিক আইনের পণ্ডিত ব্যক্তি বলে মনে করা হয়। একসময় আইনের অধ্যাপক ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেপরোয়া আচরনের সঙ্গে টেড ক্রুজের প্রকাশ্য অবস্থান আমেরিকার গণতন্ত্রের স্বভাবিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
তুরস্ক এবার যেসব শর্ত জুড়ে দিল
ফিনল্যান্ড-সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়। কিন্তু তাদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পথে বাধা হয়ে দাড়…