আরো অনেক কিছু করার আছে প্রবীণদের কল্যাণ ও নিরাপত্তায়

Total Views : 159
Zoom In Zoom Out Read Later Print

১৯৯১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করা হচ্ছে। ১৯৯০-র ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ১ অক্টোবর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক বৃদ্ধ দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই দিবসের তাৎপর্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, We must put an end to age discrimination, abuse, neglect and violence against older persons. I urge states to put the necessary legal protections in place and I urge all partners to help countries develop the capacity and institutions to achieve this objectives. On this International day, let us reaffirm our commitment to the vital work of upholding the United Nations principles for older persons and achieving a society for all ages.জাতিসংঘের মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রবীণ নাগরিকদের জন্য চিন্তা-ভাবনার খাতিরে বছরের একটি বিশেষ দিনকে উৎসর্গ করেছে। এজন্য বিশ্ববাসী বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকগণ নিঃসন্দেহে গৌরব অনুভব করেছেন।

এই নিবন্ধকার নিজে একজন প্রবীণ নাগরিক। বাংলাদেশে প্রবীণ নাগরিকদের হালচাল এবং বর্তমান বিশ্বায়নের প্রভাবে, বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ও জীবিকার প্রয়োজনে একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে ছোট পরিবারে পরিণত হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোও সব পরিবারে এক নয়। প্রত্যেকটি পরিবারের সদস্য সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন। ফলে প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যা এবং জীবনশৈলীও ভিন্ন হতে বাধ্য।

বর্তমানে আমরা যদি আর্থিক দিক থেকে বিভাজন করি, তাহলে দেখতে পাই, বাংলাদেশে চার শ্রেণির লোকের বসবাস। প্রথম শ্রেণি হলো উচ্চবিত্ত। দ্বিতীয় মধ্যবিত্ত, তৃতীয় নিম্নমধ্যবিত্ত ও চার নম্বরে আছে নিম্নবিত্তের পরিবার। এই চার শ্রেণির পরিবারেই প্রবীণরা আছেন। প্রতি শ্রেণিতেই প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। বর্তমানে বাংলাদেশে আয়ু যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটা সম্ভব হয়েছে কলেরা, গুটি বসন্ত, প্লেগ ইত্যাদি মহামারীর প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও ক্ষয়রোগের চিকিৎসার উন্নতির ফলে। মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে। আর এই সমস্যার জন্য ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বহুলাংশে দায়ী।

See More

Latest Photos