সিলেট ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেকু ও ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নওশাদ এবং মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমেদুর রহমান উমেদের আশ্রয়ে আছেন সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের আস্থাভাজন ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি যুবলীগ ক্যাডার সেন্টু রহমান।
বিএনপি ও যুবদলের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন যুবলীগ নেতা সেন্টু রহমান।
জুলাই থেকে আগস্ট, ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে পট পরিবর্তন হয়ে আজকের এই বাংলাদেশ। ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পুরোটায় বদলে যায়। তখন আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতা পালিয়ে যান, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অনেকে এখন জেলে আছেন। বিএনপির কিছু প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়ে থাকার কথাও শোনা যায়। বিএনপি ও যুবদল নেতার মাধ্যমে আওয়ামী মাফিয়া কিংবা অস্ত্রধারী যুবলীগ ক্যাডারদের পুনর্বাসন হচ্ছে, এমন খবর মাঝে-মধ্যেই পাওয়া যায়। জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৩ ই নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মিছিল থেকে গ্রেফতার হন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসান। অভিযোগ রয়েছে এসআই সজিবকে দিয়ে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে ধৃত কামরুল হাসানকে অমানুষিক নির্যাতন করান সেন্টু রহমান। ৫ ই আগস্টের পট পরিবর্তনের পরে আত্মগোপনে চলে যান সেন্টু রহমান। জানা যায় তিনি পরবর্তীতেতে সিলেটে আছেন জানতে পেরে কামরুল হাসান সিলেটে আসেন এবং উমেদ গ্রুপের কিছু লোকের সহযোগিতায় ২২ নং ওয়ার্ড, ডি ব্লকের ২৪ নং রোডের একটি বাসা থেকে ২ জন মেয়ে সহ সেন্টুকে আটক করা হয়। পরে তাদের পীড়াপীড়ির একপর্যায়ে কামরুল হাসান নিজের সম্মান নিয়ে সেন্টুকে রেখে ঢাকায় চলে যান। এরপর থেকে ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেকু ও মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক উমেদুর রহমান উমেদ সহ অনেকে মোবাইলে হুমকি দেন এবং সেন্টু তাদের নিজের লোক বলে দাবি করেন। আর মূলতঃ সেই থেকে সিলেটের উপশহর এলাকায় তুমুল আলোচনা চলছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের বরাদ দিয়ে জানা গেছে তার পুরো নাম সেন্টু রহমান, দেশের বাড়ি শরিয়তপুর। থাকতেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায়। রাজধানীর ঐ এলাকায় একসময় যুবলীগের ত্রাসের রাজত্ব ছিলো তার। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের আস্থাভাজন হওয়ায় গোটা বাংলাদেশে ছিল তার আধিপত্য। তাছাড়া জুলাইয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে তার নেতৃত্বে ছাত্রদের উপর হামলা হয়েছে বলেও জানান অনেকে। দীর্ঘদিন সিলেটে নিজেকে একজন কন্ট্রাক্টর পরিচয় দিয়ে বসবাস করে যাচ্ছেন। জানা যায়, ডজনখানেক মামলার পলাতক আসামী ও সশস্ত্র যুবলীগ ক্যাডার সেন্টু রহমান এখন সিলেট উপশহরে গা ঢাকা দিয়ে ও নিজ পরিচয় গোপন করে; স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি ও মহানগর যুবদলের ক্যাডারদের আশ্রয়ে আয়েশী জীবনযাপন করছে। জানা যায়, যুবলীগ ক্যাডার সেন্টু একজন টেন্ডারবাজ ও নারীলোভী এবং তিনি শেরেবাংলা নগর থানার একজন অস্ত্রধারী যুবলীগ ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগের তথ্য রয়েছে।