নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া জেল থেকে ছাড়া পেয়েই , আটক ৩
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন-একই উপজেলার ছয়ানীট শওকত আলীর ছেলে মো.তারেক হোসেন (১৮), একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো.শাকিব (২৪) ও গোপালপুর ইউনিয়নের মহবুল্যাপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে বাহার উদ্দিন (২৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাসান গত ৪-৫ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পায়। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে গোপালপুরের বাসস্ট্যান্ড ও বাজার দখলের হুমকি দেয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বহিরাগতদের নিয়ে গোপালপুর বাজার এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলর মহড়া দেয়। ওই সময় ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাদেরকে পাথর নিক্ষেপ ও মারধর করে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। স্থানীয়দের হামলায় আটকদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়।
গোপালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী মাইন উদ্দিন বলেন, হাসান মোটরসাইকেল নিয়ে গোপালপুর বাজারে মহড়া দেওয়ার সময় গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমি তাদের মুখোমুখি পড়ে যাই। এ সময় তারা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এর আগে গোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মহসিনকে কোমরে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের মারধর করে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ করে। হাসান যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো.হাসানের ফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় এলাকাবাসীরা তিনজনকে একটি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ পুলিশে সোপর্দ করে। আটকদের মধ্যে বাহার গুরুতর আহত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গণপিটুনির দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।