চারিদিকে খুশির জোয়াড়! নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করায়

Total Views : 115
Zoom In Zoom Out Read Later Print

ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে ফেয়ার ইলেকশন তো দূরের কথা জনগণ তার ভোটের অধিকারটাই হারিয়ে ফেলেছিলো। ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আর কখনোই ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এদেশের আম পাবলিক। যাদের হাত ধরে এসেছে দ্বিতীয় বিজয়। হাসিনাকে হটিয়েছে সেই জেন জিও অংশ নিতে পারেনি কোন ভোটে।

শুধু কি সংসদ নির্বাচন? হাসিনা হস্তক্ষেপ করেছিলো স্থানীয় সকল নির্বাচনেই। জনগণের ভোটের অধিকার কেঁড়ে নিয়ে কায়েম করেছিলো রাতের ভোটের রীতি। স্বৈরাচার হাসিনার সময় দিনের বেলার ভোট হয়ে যেতো আগের রাতেই। তবে এখন দিন বদলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস। তার দক্ষতায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এরই অংশ হিসেবে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ডব্লিউইএফ‘র প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ বছরের শেষের দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছেন। এরপর থেকেই আনন্দের জোয়াড়ে ভাসছে পুরো দেশ। দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ফেয়ার নির্বাচন দেখে না এদেশের জনগণ।

 

বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলোই উচ্ছসিত প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করায়। যদিও নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা নিয়ে তাগাদা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর। এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, নির্বাচনের তারিখ দ্রুততম সময়ে ঘোষণা দিতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই মূল সংস্কার করে দেশ পরিচালনা করবেন। এমন নির্বাচন হোক, যা আওয়ামী লীগের ১৪, ১৮ ও ২৪ এর মতো হবে না।বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে কি হয়েছিলো তা সকলেরই জানা। সেসময় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান এদেশের আপামর আমজনতা ও নেটিজেনরা। মৌসুমী নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আমি জেন জি, কোন নির্বাচনেই ভোট দিতে পারি নি। এটা ভেবেই ভালো লাগছে যে স্বাধীন দেশে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবো। ফেসিস্ট হাসিনার সময় যে নির্বাচন কমিশন দিনের ভোট রাতে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলো, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।


ভোটের অধিকার কেঁড়ে নেয়া ফেসিস্ট হাসিনাকে গদি থেকে নামিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিলো যে জেনারেশন জেন জি, তারাও প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারবে ভেবেই উচ্ছসিত। দ্রুত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে ড. ইউনূস এমন প্রত্যাশা দেশের সচেতনমহলের।

See More

Latest Photos