চীনের প্রতি আস্থা বাড়ছে, কমছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি।

Total Views : 85
Zoom In Zoom Out Read Later Print

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশিষ্টজনের মধ্যে। যদিও বাধ্য হলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে চীনকেই মিত্র হিসেবে বেছে নিতে চান তাদের অধিকাংশ। সিঙ্গাপুরভিত্তিক আইএসইএএস-ইউসুফ ইসহাক ইনস্টিটিউটের এক জরিপে এ কথা উঠে এসেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান, গবেষক, ব্যবসায়ী, সংবাদমাধ্যম, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এ জরিপ পরিচালিত হয়। খবর স্ট্রেটস টাইমস।

করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এক ধরনের সতর্ক মনোভাবের প্রকাশ দেখা যেতে পারে।  

আগামী কয়েক বছরে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের আরো উন্নতি হবে বলে মনে করছেন অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমারের বুদ্ধিজীবী-ব্যবসায়ীদের মধ্যে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নিরপেক্ষ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে বেশি। তাদের প্রত্যাশা, চীনের সঙ্গে তাদের দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখনকার পর্যায়েই থাকবে।  

জরিপের ফলাফল সম্পর্কে আইএসইএএস-ইউসুফ ইসহাক ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ চোই শিং কোয়াক বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু ও অবাধ ভূরাজনৈতিক বৈরিতা এ অঞ্চলের স্বার্থকে যে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদে ক্ষুণ্ন করতে যাচ্ছে, জরিপের ফলাফলে আঞ্চলিক সে উদ্বেগেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। তবে অভিন্ন স্বার্থের ইস্যুতে বৃহৎ শক্তিগুলো সহায়তামূলক অবস্থান গ্রহণ করতে পারে বলে এ অঞ্চল এখনো আশাবাদী। এখানকার দেশগুলো আসিয়ানের সঙ্গে অন্যান্য অর্থনৈতিক শক্তির ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার উদ্যোগকেও স্বাগত জানায়।’

নিয়মিতভাবে ২০১৯ সাল থেকে বার্ষিক এ জরিপ পরিচালনা করে আসছে আইএসইএএস-ইউসুফ ইসহাক ইনস্টিটিউট। অনলাইনে ছয়টি ভাষায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। এগুলো হলো ইংরেজি, বাহাসা ইন্দোনেশিয়া, বর্মি, খেমার, থাই ও ভিয়েতনামি।

See More

Latest Photos