ভালো ব্যাংক একীভূত প্রক্রিয়ায় কেন রাজি হচ্ছে ?

Total Views : 152
Zoom In Zoom Out Read Later Print

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে। এক্সিম ও পদ্মা’র পর এবার সেই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভূক্ত হতে যাচ্ছে আরো ছয়টি ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকের সাথে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে একীভূত করার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের খবর এসেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে। বেসরকারি দ্য সিটি ব্যাংকের সাথে একীভূত হওয়ার আলোচনায় আছে সরকারি বেসিক ব্যাংকও।

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকের সাথে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে একীভূত করার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের খবর এসেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে। বেসরকারি দ্য সিটি ব্যাংকের সাথে একীভূত হওয়ার আলোচনায় আছে সরকারি বেসিক ব্যাংকও।

প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন বা পিসিএ নামক ওই ফ্রেমওয়ার্কের ওপর ভিত্তি করেই এ বছরের শুরু থেকে ব্যাংক একত্রীকরণের তোড়জোড় দেখা যায়।

গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংক-কোম্পানি একত্রীকরণের একটি নীতিমালাও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সবল ব্যাংকগুলোকে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।

এতে বলা হয়েছে, ‘ভালো ব্যাংকটি দুর্বল ব্যাংকের কার্যক্রম তথা আমানত, গ্রাহক, শাখার নেটওয়ার্ক, অপারেশন, কৌশল, গবেষণা ও আধুনিক প্রযুক্তি ও একই কারিগরি সিস্টেম এবং ব্যবস্থাপনার আরো ভালোভাবে ব্যবহার করে সাশ্রয়ী ব্যয়ে আরো বড়, দক্ষ ও শক্তিশালী হওয়ার কারণে দুই ব্যাংকেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন, এই নীতি সহায়তাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একত্রীকরণ থেকে লাভবান হতে পারবে দুর্বলদের দায়িত্ব নেয়া ব্যাংকগুলো।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ছয় ধরনের নীতি সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর অন্যতম ‘ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ, সিআরআর বা ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও, এসএলআর বা স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও, এলসিআর বা লিকুইডিটি রেশিও সংরক্ষণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অংশ অব্যাহতি প্রদান।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এতে ঋণ দেয়া বা লগ্নি করার জন্য বাড়তি অর্থের যোগান পাবে ব্যাংক। এর মুনাফা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে তারা।’


See More

Latest Photos