ডা. দিলীপ কুমার রায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আর.এম.ও. হিসেবে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি গবেষনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএইচএমএস ডিগ্রি পাস করেন।
ডা. দিলীপ কুমার রায় (হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান এর এক উজ্জ্বল নক্ষত্র)
ডা. দিলীপ কুমার রায় বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান এর একজন সফলতম ব্যাক্তিত্ব, যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। তিনি এমনই একজন মানব প্রেমিক, সমাজসেবক এবং মহৎপ্রাণ মানুষ যিনি নিজের আরাম-আয়েশ, বিশ্রাম, ব্যক্তি-জীবন এবং নিজের চাওয়া পাওয়া কে বিসর্জন দিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যাবস্থাকে সফল করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। দেশের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যাবস্থা যখন চরম ভাবমূর্তি সংকটে ভুগছে সেই মূহুর্তে তিনি আলোর দিশারি হয়ে এসেছেন। ড. দিলীপ কুমার রায় দেশ এবং চিকিৎসা জগতের আশির্বাদ এবং পথনির্দেশক হিসাবে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। ব্যক্তি আলাপচারিতায় তিনি সদা হাস্যোজ্জল, প্রখর দৃষ্টি সম্পন্ন এবং সদালাপী একজন মানুষ। যেসব মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যাবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল তাঁরাই এখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার অভাবনীয় সফলতার কথা বলেন এবং এর পেছনের কান্ডারী এই ড. দিলীপ কুমার রায়। তার ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, দুরদর্শিতা, শিক্ষা, মেধা, শ্রম, সাধনা, দীর্ঘ প্রশিক্ষণ তাকে পরিপূর্ণ এবং সফলতার শীর্ষ শিখরে পৌছে দিয়েছে। একসময় আমাদের দেশের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলো একেবারে নাজুক, ছিলো না হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ, যে কয়েকটি ছিলো সেখানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা ও পেতো না । ডা. দিলীপ কুমার রায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর সবকিছু ঢেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ, শিক্ষার সুব্যেবস্থা এবং শিক্ষক ও কর্মচারীরা যেন সঠিকভাবে বেতন ও ভাতা পান সেসবের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থায় রুপান্তর এর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সফল চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং মানবসেবায় অসামান্য ও অনবদ্য রেখে এরই মাঝে তিনি দেশের মানুষকে অভিভূত করে সকলের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
দরীদ্র রোগীরাও তার সহযোগিতা হতে কখনো বঞ্চিত হন না। দরীদ্র রোগী ও মানুষের তিনি নানা ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকেন। তাইতো দরীদ্র,অসহায়, নিঃস্ব, রিক্ত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কাছে তিনি আশ্রয় স্থল। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও মানবসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি ইতিমধ্যেই অসংখ্য প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, ক্লাব হতে পেয়েছেন ব্যাপক সম্বর্ধনা ও স্বীকৃতি। তার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় বুঝতে পেরেছি যে তিনি নাম,যশ এর জন্য নয় বরং নিভৃতে জনকল্যাণ ও দেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। পার্থিব কোনো চাওয়া পাওয়া তাকে এই মহৎ কাজ থেকে বিন্দুমাত্র বিরত রাখতে পারে নি। আমাদের সমাজ তথা দেশে এমন মানবসেবী,মহৎপ্রাণ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নেই। তাই আমাদের কর্তব্য হাতেগোনা এই অনন্য এবং অসাধারণ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সমাজ তথা জাতির সামনে উপস্থাপন করা। এতে করে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তাদের দ্বারা উপকৃত হবেন এবং তারাও পেতে পারেন তাদের প্রকৃত সম্মান, মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।