পদত্যাগের ঘোষণা ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক লাইভে এসে

Total Views : 55
Zoom In Zoom Out Read Later Print

চলমান কোটা আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন শরীয়তপুরের জাজিরায় দিদার সরদার নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। দিদার সরদার জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের মনাই ছৈয়ালের কান্দি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে।

ফেসবুক লাইভের ক্যাপশনে দিদার লেখেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমার কাছে সবচেয়ে সম্মান এবং শ্রদ্ধার। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, তা অমান্য করার কোনো সুযোগ কারো নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে প্রাণে আওয়ামী লীগকেই পছন্দ করি। তাই আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম। ছাত্রলীগ আমার আবেগ ছিল। আমি ছাত্রলীগের বড় ভাইদের আইডল মনে করতাম। ছাত্রলীগের কর্মী হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ব করতাম। 

তিনি লেখেন, কিন্তু আজ এই ছাত্রলীগের হাতেই সাধারণ ছাত্র ছাত্রী এভাবে মার খাবে, হত্যার শিকার হবে এটা কখনো ভাবতে পারিনি। তারা অধিকার চেয়েছিল। এটাই তাদের অপরাধ। এজন্য যদি তাদের ওপর ছাত্রলীগ এভাবে দেশীয় অস্ত্র লাঠি, বন্দুক, বোমা ইত্যাদি নিয়ে হামলা করতে পারে তাহলে তারা আর কি না করতে পারবে। এই ছাত্রলীগ হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করবে। কিন্তু তারা এসব কি করছে। আজকে এই ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে আমার বাবা মাকে গালি শুনাতে চাই নাহ। আমার বাবা মা আমাকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়েছেন।

তিনি আরও লেখেন, আমি জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমি আজ স্ব-জ্ঞানে, স্ব-ইচ্ছায় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ গ্রহণ করলাম। আমি আমার লাইফে আর কোনো দল বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়াব না। ভালো থেকো প্রাণের সংগঠন। নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে কাজ করার আহবান রইল।

জানা যায়, দিদার সরদার স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যায়নরত অবস্থায় তার নিজ এলাকা বড়কান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করেন। এরপরে ২০২০ সালে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে দিদার সরদার বলেন, যে পরিচয় দিলে বাবা মাকে বকা শুনতে হয় সেই পরিচয় থেকে নামটা মুছে নিলাম। ভালো থাকুক প্রাণের সংগঠন।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রাশেদুজ্জামান জানান, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে এবং মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে যেতে পারে না। যদি কেউ ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী হয়ে থাকে তাহলে তাদের স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে তারা যেতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে এরা বিএনপি-জামাতসহ বিভিন্ন দল থেকে ছাত্রলীগ এসে যোগ দিয়েছিল।

See More

Latest Photos