কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে যারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
ধ্বংসযজ্ঞে জড়িতদের বিচার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে করার দাবি, রওশন এরশাদ
২৭ জুলাই সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, মিরপুর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি জানান রওশন এরশাদ। পরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান।
রওশন এরশাদ বলেছেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমি হারিয়ে ফেলেছি। যারা দেশের এত বড় ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে তাদের বিচার করা হোক। কোনো দেশের নাগরিক তার দেশের সম্পদ এভাবে ক্ষতি করতে পারে না। যারা করেছে, তারা দেশের শত্রু।
তিনি বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই, আজ আমি নিজের চোখে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে এসেছি। আমার এই বয়সে দেশের এই ছবি দেখতে হবে, তা ভাবতেও পারিনি। এই ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে উঠতে সরকারের কষ্ট হবে, কিন্তু মনের ক্ষত আমরা মুছতে পারব না।
‘দেশের কোমলমতি ছাত্রসমাজ ন্যায়সঙ্গত কিছু দাবি জানিয়েছিলেন। আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ছাত্রদের দাবি পূরণ হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায় সহিংসতা দেখা দেয়। তার জন্য অনেক ছাত্রের অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি, সাধারণ অনেক মানুষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে মৃত্যুর সাথে সংগ্রাম করছেন। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়। আমি সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। যারা মারা গেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নিহতদের পরিবার পরিজনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
এ সময় জাতীয় পার্টির (রওশন) কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও সুনীল শুভ রায়, মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।