জেনিফার লোপেজ। একাধারে মার্কিন গায়িকা, মডেল ও অভিনেত্রী। ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে টালাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার সময়। এর ওপর একটি দুঃসংবাদ এলো তার জন্য। বড় ধরনের এক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন তিনি।
জেনিফার লোপেজ আর্থিক ক্ষতির মুখে।
ইতোমধ্যেই জেনিফার লোপেজ ও অভিনেতা ও প্রযোজক বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এ মুহুর্তে সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকছেন এই গায়িকা।
এদিকে জেনিফার ও বেন যৌথভাবে বেভারলি হিলের যে বিলাসবহুল বাড়িটি কিনেছিলেন, তার দাম এখন অনেকটাই কমে গেছে। আর একারণেই প্রায় ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির ঝুঁকিতে আছেন জেনিফার। সেই সঙ্গে আর্থিক এই ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে অভিনেতা বেনেরবিচ্ছেদের আগেই বেভারলি হিলের বাড়িটি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বেন-জেনিফার। ৬৮ লাখ ডলারের বিনিময়ে বাড়িটি বিক্রি করতে চাইছিলেন তারা।
এ প্রসঙ্গে রিয়েল এস্টেট এক্সপার্টরা বলছেন, বাড়িটি অনেক বড় এবং খারাপ লোকেশনে হওয়ায় এত দামে বিক্রি করতে পারবেন না বেন-জেনিফার। যার জন্য বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের।
এদিকে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য মতে, বাড়িটির প্রকৃত মূল্য ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার। বেন-জেনিফারের বাড়িটিতে ১২টি বেডরুম, ২৪টি বাথরুম আছে। ৫ একর জায়গায় নির্মিত এই বাড়িটি ২০২৩ সালে কেনা হয়েছিল ৬০.৮ মিলিয়ন ডলারে। বাড়িটি সংস্কারেও মিলিয়ন ডলার খরচ হয় তারকা জুটির। বাড়িটি কেনার সময় বেনের থেকে জেনিফারের অর্থের পরিমাণও বেশি ছিল বলে গণমাধ্যমটি নিশ্চিত করে। তাই যতো কম অর্থে এটি বিক্রি হবে। ততই ক্ষতি হবে জেনিফাবেন ও জেনিফারের প্রেমের সম্পর্কটি শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। এরপর ২০০২ সাল পর্যন্ত তারা প্রেমের সম্পর্কে থাকেন। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। কিন্তু হঠাৎ করেই আলাদা হয়ে যাব তারা। এরপর দীর্ঘ সময় দুজনেই নতুন নতুন জীবন সঙ্গী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তবে ২০০২ সালের বিচ্ছেদের ২০ বছর পার আবারও একে অন্যের হাত ধরেন। করেন বিয়েও। সেই সম্পর্কও ভেঙে যায় তাদের। এখন দুজনই আলাদা আছেন।