বিগত তিনটি নির্বাচনে যেসব কর্মকর্তারা অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ ছাড়া ওই ১৫ বছরে যেসব ব্যক্তি এই অপকর্মে জড়িত ছিলেন, তাদেরও যথাযথ আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। গত তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এনসিপির বিগত তিন নির্বাচনে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি





তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন কমিশনকেও সংস্কারের আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা চাই গ্রামীণ পর্যায়ে মসজিদের ইমাম ও স্কুলের শিক্ষকও যেন পার্লামেন্টে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হোক। গেজেট প্রকাশের আগে ও নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফিকেশন দিতে হবে যে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। এতে পরবর্তীতে ইসিকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে। অতীতে ঋণখেলাপিদের ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছি, এসব বিষয় তদন্ত করে আইনি নিষ্পত্তি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি ও নির্বাচনি ব্যয়ের বিধিমালা পরিবর্তন চেয়েছি, এ বিষয়ে কমিশন থেকে আশ্বস্ত করেছেন, তারা পরিবর্তন করবেন।’
এর আগে দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সিইসির সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন, নিবন্ধনের সময়সীমা ও নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঙ্গে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনূভা জাবীন উপস্থিত ছিলেন।