কানে সারাক্ষণ হেডফোন গুঁজে রাখলে, তা কানের ক্ষতি করে—কথাটি মোটামুটি সবাই কমবেশি শুনেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হেডফোনের কারণে শ্রবনশক্তি ক্রমশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে হেডফোন ব্যবহার করতে পারলে শ্রবনশক্তি বাঁচানো সম্ভব।
৫ পরামর্শ হেডফোন ব্যবহারে





- একটানা ৩০ মিনিটের বেশি ইয়ারফোন, ইয়ারবাড বা হেডফোন ব্যবহার করবেন না। মোবাইলে কোনও সিনেমা দেখতে হলে ৩০-৪০ মিনিট পর পর মিনিট পাঁচেকের বিরতি নিন। এই মিনিট খানেক শ্রবনইন্দ্রিয়কে বিশ্রাম দিন।
- যে কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করছেন, ঠিক সেই সংস্থার, সেই মডেলটির ইয়ারফোনই ব্যবহার করুন। প্রতিটি মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাই তাদের নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনের জন্য নির্দিষ্ট ইয়ারফোন তৈরি করে।
- হেডফোন বা ইয়ারফোনে কখনওই সর্বোচ্চ ভলিয়্যুমে কিছু শুনবেন না। এতে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইয়ারফোনের মাধ্যমে এই আওয়াজ সরাসরি কানে প্রবেশ করে। তাই এ বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকা জরুরি।
- অন্যের ব্যবহৃত হেডফোনের মাধ্যমে কানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই বন্ধু বা পরিচিতদের হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো। এতে অনেকাংশে ঝুঁকি কমানো যায়।
- বাইরে বেরিয়ে গান শুনতে হলে, তা শুনুন বাসে, ট্রেনে উঠে বা কোনও এক জায়গায় বসে। রাস্তায় হাঁটার সময়, রাস্তা বা রেল লাইন পেরনোর সময় কখনওই হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না। গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় কানে ইয়ারফোন লাগাবেন না। এর ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।