কাশ্মীর ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। সাম্প্রতিক এক সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, পাকিস্তান একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ—এদেশে এত সহজে কেউ হামলা চালাতে পারবে না। তাঁর মন্তব্যে দেশপ্রেম, প্রতিরক্ষা ও ঐক্যের বার্তা উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মরিয়ম বলেন, “পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা আছে, কিন্তু আতঙ্কের কিছু নেই। আল্লাহর রহমতে, আমাদের সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত। শত্রুরাও জানে, পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।” তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও দেশের বিরুদ্ধে কোনও বহিরাগত হামলার সময় সবাইকে এক হয়ে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াতে হবে। পাকিস্তানের শক্তির মূল উৎস শহীদদের আত্মত্যাগ, আর সেই ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে দেশের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সহজে কেউ হামলা করবে না পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, : মরিয়ম নওয়াজ





দ্য ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মরিয়ম নওয়াজ দাবি করেছেন, তাঁর পিতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানকে একটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। এদিকে, সাম্প্রতিক কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান সরকারের হাতে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জাতিসংঘ মহাসচিবকে ফোন করে কড়া বার্তা দেন—যদি ভারত আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ভারত সত্যিই সামরিক হামলা চালায়, তবে নিজেদের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পথও বেছে নিতে পারে। তথ্যসূত্র : দ্য ডন
রুম্মান শারমিন স্নেহা