যুদ্ধবিরতি ভারত ও পাকিস্তানের

Total Views : 5
Zoom In Zoom Out Read Later Print

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এটি স্বস্তির খবর। যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এ কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদেরও আমরা ধন্যবাদ জানাই।

প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা শুরু হয় গত এপ্রিলে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় এপ্রিল মাসে বেশকজন নিহত হন। ওই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের মদদ আছে বলে অভিযোগ তোলে ভারত; পাকিস্তান তা বারবার নাকচ করে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পরপর পাকিস্তান ও ভারতের পক্ষ থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিনি আরও লিখেছেন, পাকিস্তান সবসময় এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করেছে। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নিয়ে কখনো আপস করিনি।

গত ৭ মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী ভারতের বিমান লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এরপর দুই দেশের সীমান্তে গোলাবর্ষণ চলতে থাকে। সঙ্গে চলে ড্রোন হামলাও। শুক্রবার রাতে ভারত পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরপর পাকিস্তান শনিবার সকালে ভারতে হামলা চালায়। মার্কিন ‘নেভাল ওয়ার কলেজ’-এর অধ্যাপক জাহারা ম্যাটিসেক এ বিষয়ে বিবিসিকে বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান সংঘাত এমন এক ড্রোন যুগে প্রবেশ করছে-যেখানে এ ‘অদৃশ্য চোখ’ ও মনুষ্যবিহীন নির্ভুলতা উত্তেজনা বাড়াতে বা কমাতে পারে। তাই দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশ ড্রোন প্রযুক্তি ও কৌশলে এগিয়ে থাকবে, এ অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আকাশে তারাই আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। কারণ, ড্রোন শুধু দেখতে নয়, আক্রমণ করতে ও যুদ্ধের মোড় পালটে দিতে সক্ষম’।

বস্তুত পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরুর পরপরই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে দেশ দুটি একের পর আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ত। এতে যে ক্ষয়ক্ষতি হতো, তা ভাবলেও গা শিউরে ওঠে। স্বস্তির বিষয়, দুপক্ষই বাস্তব পরিস্থিত অনুধাবন করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অনুরোধে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। কোনো যুদ্ধে কেবল সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জনগণই যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা নয়; পার্শ্ববর্তী দেশেও এর প্রভাব পড়ে। যুদ্ধের কারণে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়, তা বহুল আলেচিত। কাজেই আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সবাইকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

See More

Latest Photos