শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’–এর শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানোসহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন রহমত উল্ল্যাহ নামের এক প্রযোজক। ওই প্রযোজকের নামে মানহানির মামলা করতে গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গুলশান থানায় উপস্থিত হন শাকিব খান। তবে পুলিশ মামলাটি নেয়নি। এরপর এ নায়ক রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। স্বামী শাকিব খানের পাশে দাড়িয়ে এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। ফেসবুক স্ট্যাটাসে বুবলী লিখেছেন, ‘শাকিব খান একজন অভিনয়শিল্পী যে কিনা প্রায় ২৪ বছর এই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেছেন, অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সিনেমা নিয়ে ভেবেছেন। হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ইস্যু এনে তাকে নিয়ে নানান বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে!’
শাকিবের হোটেল কক্ষে মধ্যরাতে নারী কী করছিলেন? প্রশ্ন বুবলীর





তিনি আরও লিখেন, ‘অনেক বছর আগের অপারেশন অগ্নিপথ নামের একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন শাকিব খান এর ব্যাপারে বিস্তর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে প্রডিউসার দাবি করে এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে নানান অভিযোগ করছেন। ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ায় অপারেশন অগ্নিপথ শুটিং এর পর ২০১৮ সালে শাকিব খান তার সুপার হিরো নামের আরেকটি সিনেমার শুটিং সম্মানের সাথে প্রায় ২০ দিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে শেষ করে আসেন। উনি যদি কোনো ব্যাপারে দোষী থাকতেন তাহলে তো অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তাকে তখন শুটিং এর অনুমতিই দিতেন না। শাকিব খান নিজেও অস্ট্রেলিয়া যেতেন না। তার খাবার খাওয়া নিয়ে বলা হচ্ছে, উনি কি ডায়মন্ডের খাবার খেতেন যেটা নিয়েও অভিযোগ যে, অনেক খরচ হতো!’
সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ প্রসঙ্গে বুবলী লিখেন, ‘মধ্যরাতে তার হোটেল রুমে নারী সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে বলা হচ্ছে, মধ্যরাতে তার হোটেল কক্ষে নারী কি করছিলেন? কি তার বা তাদের উদ্দেশ্য ছিল? এতো বছর কেনো ওসব ঘটনা নিয়ে সেই নারী প্রকাশ্যে কথা বললেন না! এখন কেনো এই প্রডিউসার দাবি করা ব্যক্তি অস্থির হয়ে গেলেন? আর দেশে হোক বা বিদেশে! যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে, খাতায় নাম উঠতেই পারে কিন্তু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, উভয় পক্ষের প্রমাণাদি নিয়ে।’
শাকিবের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন জানতে চেয়ে তিনি লিখেন, ‘হঠাৎ এতো অভিযোগের ভান্ডার কেনো? কি চাচ্ছে? শিডিউল? মুভি শেষ করে দেয়া? আমার জানামতে শাকিব খান অনেক বার অপারেশন অগ্নিপথের শিডিউল কয়েকবারই দিয়েছেন, কিন্তু শুটিং হয়নি। এখনও যদি শিডিউল চাওয়া হয় সিনেমা শেষ করতে, উনি অবশ্যই শিডিউল দিবেন, কারণ সে পেশাগত জায়গায় যথেষ্ট ডেডিকেটেড, তা নাহলে ২৪ বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারতেন না। কারণ একজন সফল শিল্পী একদিনে তৈরি হয়না। কয়েক বছর ধরে দেখছি, একটা চক্র কিছুদিন পর পরই শাকিব খানকে নিয়ে ওঠেপড়ে লাগে। নানা চক্রান্তে মেতে ওঠে। বিষয়টা যেন এমন, তাকে হটিয়ে দিতে পারলেই আমরা রাজা। কিন্তু তার লাখো কোটি ভক্তরা কখনোই তা হতে দেয়নি। দিবেও না। সবসময়ই তারা তাকে আগলে রাখে। শক্তি দিয়ে এগিয়ে নেয়।’
সবশেষে তিনি লিখেন, ‘শুধু মনে রাখবেন, রাজা সবসময়ই রাজা। সুপারস্টার সবসময়ই সুপারস্টার।’
প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’র শুটিং সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া শাকিব খানের নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করতেন অ্যানি। মূলত সেই সূত্রেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।