আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জেন-জি প্রজন্ম ফার্মের মুরগি না, তারা আবাবিল পাখির মত। তিনি বলেন, এই জেন-জি প্রজন্ম স্বৈরাচারের পতনই শুধু ঘটায়নি, দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। একুশ পূর্ণ করে বাইশ বছরে পদার্পণ করল দৈনিক নয়া দিগন্ত। তাজুল ইসলাম বলেন, ন্যারেটিভ তৈরিতে সংবাদপত্রের বিশাল ভূমিকা। শেখ হাসিনার ন্যারেটিভ দেশকে খাদের তলায় নিয়ে যায়। কিন্তু জেন-জি প্রজন্ম সেই অতীতের মিথ ভেঙে দিয়েছে। এক শ বছরে এমন ঘটনা বিরল। ‘এর আগে সাংবাদিকতা ছিল তোষামোদির শিল্প। প্রশ্নে জর্জরিত করার বদলে তৈলমর্দন করা হতো। হাসিনাকে জিজ্ঞেস করা হতো, কেন আপনি নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না? যে কথা আমরা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতে চাই, তা জেন-জি প্রজন্ম স্রেফ একটা সংলাপের মধ্য দিয়ে বলে গেছে।’
তারা আবাবিল পাখির মতো জেন-জি ফার্মের মুরগি না, : তাজুল ইসলাম
জেন-জি প্রজন্মের প্রশংসা করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে জেন-জি নেটওয়ার্কিং ছিল কল্পনার বাইরে। জেন-জি প্রজন্মকে আমরা বলতাম ফার্মের মুরগি, অথচ তারা আবাবিল পাখির মতো। যারা স্বৈরাচারের পতনই শুধু ঘটায়নি, দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে নয়া দিগন্তকে। অভিযোজনের মাধ্যমে টিকে থাকতে না পারলে এই পত্রিকার অবস্থা ইত্তেফাকের মত হবে। আমাদের পত্রপত্রিকা বিগত সরকারের ভয়ের সংস্কৃতি তুলে আনতে পারেনি। এখন গণমাধ্যমের দায়িত্ব সেগুলোকে তুলে আনা, যাতে গুমের মত ঘটনা আর না ঘটে। শহীদদের কথা তুলে আনতে হবে। নয়তো আগামীর বাংলাদেশে বাস করার অধিকার আমাদের থাকবে না।’