ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে বছরের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃত করেছে ওপার বাংলার গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন। প্রতি বছরই দুই বাংলার মানুষের মধ্যে থেকে ‘বছরের বেস্ট’ নির্বাচিত করে পুরস্কৃত করে আসছে গণমাধ্যমটি। পরীমনির হাতে সেরার পুরস্কার তুলে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এবং টলিপাড়ার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
পরীমনি কলকাতায় বর্ষসেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন





পুরস্কার নিতে কলকাতায়ও গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এসময় বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায় তাকে। পরীমনি বলেন, ‘‘আগে কলকাতাকে ‘বিদেশ’ মনে হলেও এখন আর তা হয় না। টান এখন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, ফ্লাইটও মিস করছি!’’
পুরস্কার নিতে মঞ্চে গিয়ে পরীমনি বলেন, ‘‘চলচ্চিত্র শিল্পে আরও এক হয়ে কাজ করা উচিত দুই বাংলার। দুই বাংলার সিনেমা দু’জায়গাতেই দেখানো উচিত।’’
এ বছর আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’-এ সেরা অভিনেতা হয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। তার হাতে সেরার সম্মান তুলে দেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এদিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদক অনিন্দ্য জানা এবং নাট্যপরিচালক-অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পর্দায় আবির্ভাবের পর থেকে গতি কমতে দেখা যায়নি পরীমনির কর্মজীবনে। জায়েদ খানের সঙ্গে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমা দিয়ে পথ চলা শুরু। একই বছর পরপর মুক্তি পায় ছয়টি সিনেমা। অল্প সময়েই সে দেশে মিষ্টি প্রেমের সিনেমার জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন পরীমনি। ‘আরও ভালো বাসব তোমায়’, ‘নগর মস্তান’, ‘রক্ত’, ‘পুড়ে যায় মন’, ‘আপন মানুষ’, ‘সোনা বন্ধু’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘গুণিন’-এর মতো একের পর এক সিনেমার মুখ্য ভূমিকায় মুগ্ধ করেন দর্শককে।