বাংলাদেশে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। কিন্তু চলছে ডিজিটাল জুয়া। মোবাইল সহজলভ্য হওয়ায় প্রযুক্তির বদৌলতে সারাদেশে অনলাইন জুয়া মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ও জেলা-উপজেলা শহরে এই জুয়া খেলা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রিকেট-ফুটবল খেলা থেকে শুরু করে নানান ধরনের খেলার ফলাফল বা অন্য কিছু নিয়ে বাজি ধরে বিজয়ীকে অর্থ বা মূল্যবান বস্তু আদান-প্রদান করা হয়। অনলাইনে শত শত জুয়ার সাইড রয়েছে। ওয়ানএক্সবেট, বেটউইনার, বেট৩৬৫, মেলবেট, প্যারিম্যাচ সাইডসহ শতাধিক সাইডে জুয়া হালে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন যেমন বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায়, তেমনই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলগুলোয় প্রচার হতেও দেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ সিনেমা-নাটকের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা- অভিনেত্রীদের এ জুয়ার বিজ্ঞাপনে দেখা যায়। এতে করে স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তরুণ প্রজন্ম প্রভাবিত হয়ে জুয়া খেলায় আসক্ত হচ্ছেন। এমনকি অনলাইনে বিভিন্ন জুয়ার অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খোলা সহজ হওয়ায় অনেক অশিক্ষিত তরুণ-তরুণীও এসব জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়ছে। জানতে চাইলে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নজরুল ইসলাম শামীম ইনকিলাবকে বলেন, ডিজিটিাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে অনলাইন অপরাধী শনাক্ত করা কঠিন। আমি এ পর্যন্ত ৬০টির মতো অনলাইন জুয়ার মামলা ফেস করেছি। কোনোটাই সাজার আওতায় আনা যায়নি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোবাইল ও ডিভাইস উদ্ধার করে, আসামি গ্রেফতার করে। তাদের মোবাইলে জুয়া খেলা অ্যাপস পাওয়া যায়। এখনো পর্যন্ত কোনো ভুক্তভোগী জুয়ায় হেরেও আইনের দ্বারস্থ হয়নি। অনলাইন জুয়ার বিষয়টি সজ্ঞায়িত করে কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায় সেটি এখন ভাবনার বিষয়।
ভয়ঙ্কর জুয়া অনলাইনে





জুয়া খেলা আইন ও সামাজিক দৃষ্টিতে অপরাধ। একসময় জুয়া খেলতে সরাসরি দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই জুয়া ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন রূপ পেয়েছে। এখন ঘরে বসেই জুয়া খেলা যায়। অনলাইন জুয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অথবা অন্য কোনো অনলাইন, ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল মাধ্যমে খেলাধুলার নামে বাজি ধরা হয়। বাজি ধরা ছাড়াও অর্থ কিংবা পণ্যের বিনিময়ে প্রতিযোগিতা, লটারি, অর্থ বা আর্থিক মূল্যমানের কোনো পণ্যের বিনিময়ে ভাগ্য কিংবা দক্ষতার সংমিশ্রণে কোনো আর্থিক ঝুঁকিপূর্ণ খেলা ইত্যাদি জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। বাজির লেনদেনের জন্য জুয়াড়িরা ক্যাশবিহীন ব্যাংকিং লাইন তথা ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন (যেমনÑবিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়, পেপাল ইত্যাদি) হয়ে থাকে। যুবসমাজ ধ্বংসের জন্য এখন মারাত্মক এক প্ল্যাটফর্মের নাম অনলাইন জুয়া, যা বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ছে পাড়া, মহল্লা, গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকান পর্যন্ত। এমন বিধ্বংসী খেলার নেশায় সর্বসান্ত হয়ে ভয়ঙ্করভাবে বেড়েছে সামাজিক অবক্ষয়। অর্থনৈতিকভাবেও সর্বসান্ত অনেক পরিবার। মারামারি থেকে খুনের ঘটনাও ঘটছে। সমাজ ও পরিবারে বাড়ছে অশান্তি। অভিভাবক ও সচেতন মহলে বাড়ছে উদ্বেগ। দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত এসব অনলাইন জুয়ার টাকা হুণ্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে বিদেশে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে টাস্কফোর্স গঠিত করে কাজ করলে সুফল লাভ করা সম্ভব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এরই মধ্যে এসব অনলাইন জুয়ার পরিচালিত সাইটের চক্রের অনেক বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে দেড় শতাধিক সাইট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে অনলাইনে জুয়া খেলার প্রবণতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারপরও বিভিন্ন নামে-বেনামে জুয়ার সাইট খোলা হচ্ছে। চলছে সার্বক্ষণিক জুয়া খেলা।
আদালত সূত্র বলছে, অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত এজেন্ট বা জুয়াড়িদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু অনলাইন জুয়া-সংক্রান্ত স্পষ্ট আইন না থকায় আসামিরা সহজেই জামিন পায়।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সমাজবিজ্ঞানী ড. মো. আনোয়ার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আমরা যখন বিশ্বায়ন প্রভাবিত সমাজব্যবস্থার দিকে এগোতে যাচ্ছি, তখন এই পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য যে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং শিক্ষাগত অবস্থান দরকার সেটা আহরণ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এসব জুয়ায় আকৃষ্ট করতে দেশি-বিদেশি সেলিব্রেটিরাও সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জুয়াড়িদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। দেশের সেরা ক্রিকেটার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান একটি ইউটিউবে বাংলায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন। ভারতের একটি আদালতে মামলা হয়েছিল সে দেশের অপর এক ক্রিকেটার কোহেলির।
অনলাইনভিত্তিক লুডু, ক্যারম তরুণদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় হালের পাবজি গেইম, ফ্রি-ফায়ারসহ শতাধিক গেমে আসক্ত হচ্ছেন কিশোর-কিশোরীরা। তিনপাত্তি গোল্ড ‘রাখি’, ‘অন্দর বাহার’ ‘চিপস’ ও ‘পোকার’ নামের গেমভিত্তিক অ্যাপস রয়েছে। আর এসব খেলায় বেশিরভাগ সাইট পরিচালনা করা হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে। এসব গেমস খেলে কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থী ওইসব গেমসের মধ্যেও এক ক্লিকেই লাখপতি। এ ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। যাতে শিশু-কিশোররা আকৃষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অনলাইন জুয়ায় পা বাড়ায়।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ বলেন, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ২০২৩ সালের গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। কয়েক বছর আগেও এটি ৮ শতাংশের কম ছিল। অর্থাৎ শিশু ভুক্তভোগীর হার ক্রমেই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে মাদক কারবারিদের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হয়ে গেছে। তাই শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের খেয়াল রাখা জরুরি। শিশুদের একান্তে ইন্টারনেট ব্যবহারের চেয়ে খোলামেলা জায়গায় কম্পিউটার দেওয়া হলে নজর রাখা সহজ হবে। কোন ধরনের ওয়েবসাইট ভিজিট করছে সেদিকে খেয়াল রাখা এবং সেই সঙ্গে মাদকসহ ইন্টারনেটের অন্যান্য ক্ষতিকর বিষয়গুলো নিয়ে অভিভাবকরা সন্তানদের সচেতন করা উচিত।
জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে এ ধরনের জুয়ায় অংশগ্রহণ করেন জুয়াড়িরা। এক্ষেত্রে বেট ৩৬০, ওয়ান এক্স বেট, মেল বেট, লেন বেটসহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করা হয়। সবগুলো অ্যাপকে একসাথে বলা হয় বেটিং সাইট। এসব অ্যাপ রাশিয়া, ভারত ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে। নির্ধারিত অ্যাপে খেলায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির নামে কিংবা পরিচিত অন্য ব্যক্তির নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এই অ্যাকাউন্টে কিনতে হয় সরকারি অনুমোদনহীন ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টো কারেন্সি। এজন্য ওই ব্যক্তিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ‘এজেন্ট’ নামধারী কতিপয় দালালচক্রের ব্যক্তিকে পরিশোধ করতে হয় দেশীয় টাকা। যে পরিমাণ টাকা এজেন্টকে পরিশোধ করা হবে সে অনুপাতে ক্রিপ্টো কারেন্সি দেওয়া হবে জুয়াড়ি ব্যক্তিকে। টাকাগুলো লেনদেন করতে সাধারণত ব্যবহার করা হয় বিকাশ, রকেট ও নগদ নামের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এসব টাকার বেশির ভাগ অংশই চলে যায় যে দেশ থেকে অ্যাপটি পরিচালিত হয় সেই দেশে। প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা চলে যায় বিদেশে।
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতাবিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান বলেন, অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রথমে দরকার সামাজিক আন্দোলন, দ্বিতীয়ত, আইনের প্রয়োগ এবং সর্বশেষ প্রযুক্ত ব্যবহার করে যারা এসব সাইট ও অ্যাপস তৈরির সাথে যুক্ত তাদের বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা।
সাইবার নিয়ে কাজ করা সিআইডির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনেকগুলো ধারা কমানো হয়েছে, ওই আইনে অনলাইন জুয়ার ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। যদিও অনলাইন জুয়ার বিষয়ে নতুন একটি আইন হচ্ছে, যা খসড়া আকারে আছে। এই আইনটি পাস হলে এটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের’ এক কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পেলেই সাইটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এরই মধ্যে এ অপরাধের দায়ে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অনলাইন জুয়াবিষয়ক একটি আইন করার প্রস্তুতি চলছে। আইন হয়ে গেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরো ভালোভাবে কাজ করা যাবে।
অনলাইন জুয়াড়িরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে। অনলাইন জুয়া সব থেকে বেশি খেলে থাকেন শিক্ষার্থীরা ও তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ীরা। অ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী খেলার চিপস কিনতে প্রয়োজন পড়ে ক্রেডিট বা ডেভিড কার্ড। এখন সেটাও সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকে পড়ে অনলাইন জুয়ার দিকে। একসময় তারা এ খেলায় আসক্ত হয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
দেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন জুয়ার সাইট ওয়ানএক্সবেট বেটউইনার, বেট৩৬৫, মেলবেট, প্যারিম্যাচ সাইট। এগুলোর বিজ্ঞাপন নিয়মিত দেওয়া হয় ফেসবুকে। দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত এ সাইটগুলোতে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলা নিয়ে বাজি ধরা যায়। ক্রিকেটে প্রতি বলে বলে, ম্যাচের প্রথম ওভারের প্রথম বলে, প্রতি ওভারে, প্রতি ম্যাচের প্রথম ছয় ওভার, পরবর্তী ওভারে উইকেট যাবে কি না ও কোন দল জিতবে এমন করে জুয়ার ক্যাটাগরি সাজানো।
গত বছরে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভার্চ্যুয়াল কারেন্সি ব্যবহারকারী ও অবৈধভাবে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার চক্রের এজেন্টসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের স্বীকারোক্তি উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, চক্রটি ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হয়ে বেকার যুবকদের টার্গেট করে অল্প সময়ে প্রচুর অর্থ উপার্জনের লোভ দেখাতো চক্রটি। এরপর ধাপে ধাপে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত করে তুলতো। অবৈধভাবে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করছিল। বিপিএল, আইপিএলসহ বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসহ নানা সময়ে টিভিতে প্রদর্শিত যেকোনো খেলায় খেলামোদি দর্শক যখন খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, ঠিক সে সময় একশ্রেণির জুয়াড়ি জুয়া খেলায় মেতে ওঠেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো ভ্রƒক্ষেপ না থাকায় ক্রমশ এর বিস্তার হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে অন্তত ৪শ’র মতো অনলাইন জুয়া খেলার সাইট বন্ধ করেছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে একাধিক চক্র বিভিন্ন সিক্রেট গ্রুপে জুয়ায় আসক্তদের যুক্ত করে। বেশিরভাগ জুয়া হয় ক্রিকেট ও ফুটবল নিয়ে। অতি লোভে পড়ে জুয়ার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনলাইনে জুয়া পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সর্বনাশা অনলাইন জুয়ার নেশার বিরুদ্ধে বিপন্ন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। যেকোনো মূল্যে যেকোনো উপায়ে তরুণ-কিশোরদের রক্ষা করতে হবে মোবাইল অ্যাপসে সংক্রমিত এসব জুয়ার আগ্রাসন থেকে।