কিংস্টনে বাংলাদেশের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী

Total Views : 398
Zoom In Zoom Out Read Later Print

আরও একবার টেস্ট ফরম্যাটে ধসে পড়ল বাংলাদেশ। ১০০ রানের আগেই আরও একবার দেখা গেল টপঅর্ডার এবং মিডল অর্ডারের বিদায়। ভালো অবস্থানে থেকেও আবারও চিরায়ত ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রদর্শনী। বছরের শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও টাইগার ক্রিকেটে স্ক্রিপ্ট বদলের উপায় থাকছে না। জ্যামাইকার কিংস্টনে অবশ্য পুরোদিনেই রান হয়েছে ২০০ এর নিচে। তবু দুই দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখতেই হচ্ছে।

২ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে অলআউট হয়েছে ১৬৪ রানে। সেটিও বাংলাদেশ পেরেছে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কারণে। করেছেন ৭৫ বলে ৩৬ রান। আর তাতেই ৯৮ রানে ৬ উইকেট খোয়ানো দলের ইনিংস গিয়েছে ১৬৪ পর্যন্ত।

সাদমান ইসলাম এবং শাহাদাত দীপু এদিনও ছিলেন সাবধানী। শুরু থেকে খুব একটা রান বাড়ানোর দিকে মন দিতে দেখা যায়নি তাদের। ক্রিজে সেট হয়েও অতি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই পেরিয়েছে সময়। ৮ ওভারে উঠেছিল ১৪ রান। এরপরেই আসে প্রথম আঘাত। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই খেলতে চেয়েছিলেন ৮৮ বল খেলে ২২ রান করা দীপু। কিন্তু শামার জোসেফের ডেলিভারি ভেঙেছে তার স্ট্যাম্প।

এরপরেই ক্রিজে আসা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখালেন লিটন কুমার দাস এবং জাকের আলী অনিক। একজন টিকলেন ৬ বল আর অন্যজন টিকেছেন ১০ বল। দুজনেই জেইডন সেইলসের শিকার। সাদমান ছিলেন স্বস্তি। তাকেও প্যাভিলিয়নে পাঠালেন শামার জোসেফ। এরপর মিরাজের সেই ইনিংস কেবল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে খানিক স্বস্তিই দিয়েছে।

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সাফল্য ছিল নাহিদ রানার উইকেট। কিংস্টনে নিয়মিত ১৫০ এর ওপর বল করেছেন। তাকেই কেবল খেলতে গিয়ে সমীহ করেছে উইন্ডিজ ব্যাটাররা। এছাড়া আর কেউই সে অর্থে পরীক্ষা নিতে পারেননি। ৪৭ বলে ১২ রান করা লুইকেও ফেরান তিনি।

এদিন ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন ক্রেইগ ব্রাফেট। শর্ট এক্সট্রা কাভারে তার সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর এলবিডব্লিউ হয়েও বেঁচে গিয়েছেন রিভিউ নিয়ে। দিনশেষে অপরাজিত থাকলেন ৩৩ রানে। তার সঙ্গী কিসি কার্টি অপরাজিত ১৯ রানে। স্বাগতিকরা দিন শেষ করেছে ৩৭ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে আছে দলটি।

See More

Latest Photos