জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় হামলা ও পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মেহেদী আশিক পার্থকে (৪৪) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তবে চাঁদা দাবির আরেকটি মামলায় আদালত পার্থকে জামিন দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা পার্থ ক্ষেতলাল থানায় হামলার মামলায় কারাগারে





পার্থ ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। তিনি ওই উপজেলা সদরের মাইনুর রহমান আঙ্গুরের ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার শাজাহানপুরের তোফাজ্জল হোসেন সাত বছর আগে ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের মিজানুর রহমানের কাছে পাঁচ শতক জমি কেনেন। গত ১৮ মার্চ দুপুরে জমির দলিল সম্পাদন করতে ক্ষেতলাল সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে যান। এ সময় বিএনপি নেতা পার্থ তার লোকজন নিয়ে সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে গিয়ে তোফাজ্জলের কাছে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। একপর্যায়ে পার্থের নেতৃত্বে তোফাজ্জল ও তার স্বজনদের ওপর হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তোফাজ্জল ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
চাঁদা দাবির ঘটনায় তোফাজ্জলের স্ত্রী জনয়ব বেগম ও তার স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে থানায় আসেন। তিনি পার্থ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার খবরে পার্থ লোকজন নিয়ে থানায় যান। ওই সময় থানা ফটকে থাকা প্রহরী কনস্টেবল কাজী জাফর তাদের থানায় ঢুকতে নিষেধ করলে তাকে গালিগলাজ করেন। একপর্যায়ে পুলিশের এ সদস্যকে মারধর করেন। তখন থানায় জরুরি এলার্ম বাঁশি দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় ওই থানার এসআই সঞ্জয় কুমার বর্মন বাদী হয়ে পার্থকে প্রধান করে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আদালতের দায়িত্বরত এএসআই ফিরোজ কবির বলেন, ‘পার্থের নামে দুটি মামলা ছিল। একটি চাঁদা দাবির ও অন্যটি থানায় হামলার। বিচারক নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাস চাঁদা দাবির মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন। কিন্তু থানায় হামলার মামলায় তাকে কারাগারে পাঠান।’