চীনের বুদ্ধিমান ক্যাসন রোবট কাদাপানিতেও নিখুঁত কাজ করবে

Total Views : 27
Zoom In Zoom Out Read Later Print

পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ছাংথাই ইয়াংজি নদীর ওপর একটি সেতু তৈরি হচ্ছে। এই সেতুর প্রধান কাঠামো তৈরির জন্য চীন একটি বিশেষ রোবট বানিয়েছে। রোবটটি কাদা পানিতেও পরিষ্কার দেখতে পারে এবং প্রয়োজন মতো ড্রিল করতে পারে। এর ফলে, সেতুর পানির নিচের ভিত্তি তৈরির কাজ অনেক দ্রুত শেষ করা সম্ভব হয়েছে। এই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে সেতুর পানির নিচের ভিত্তি নির্মাণের সময় অনেক কমে গেছে। এর ফলে, সেতুটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্প্যান কেবল-স্থির সেতু হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রচলিত ড্রিলিং পদ্ধতি দিয়ে সেতুটির ভিত তৈরি করা সম্ভব ছিল না। কারণ, এই সেতুর প্রধান টাওয়ারগুলো নদীর পানির নিচে বসানো হচ্ছে, যা অন্য সেতুর চেয়ে আলাদা। নদীর নিচে ভিত্তি স্থাপনের জন্য বিশাল নলাকার কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে, যার প্রতিটির ওজন ২৩ হাজার টন। এই ওজন আইফেল টাওয়ারের চেয়েও তিনগুণ বেশি এবং এর আয়তন ১৩টি বাস্কেটবল কোর্টের সমান।

৫.৯ মিটার লম্বা ও ৩.৬ মিটার উঁচু এই বুদ্ধিমান ক্যাসন রোবটটি চীনের তৈরি প্রথম বিশেষ ধরনের রোবট, যা পানির নিচে ছোট ট্রাকের মতো কাজ করে। এই উন্নত রোবটটি বিশাল আকারের পানির নিচের কাঠামোকে শক্ত করে ধরে রাখতে সাহায্য করে, যাতে সেগুলো নড়াচড়া না করে।

রোবটটির আর্ম ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে, তাই এটি সমানভাবে পলি সরাতে পারে। ৩০০ মিটার লম্বা ক্যাসনগুলোকে শক্ত করে ধরে রাখার জন্য এটা খুব জরুরি। এই রোবটটি পানির নিচে পলি সরানোর পদ্ধতিতেও নতুনত্ব এনেছে। আগে মানুষ বায়ু সাকশন মেশিন দিয়ে পলি সরাতো, যা খুব কঠিন কাজ ছিল এবং এতে খনন কাজ অসম হওয়ার ও ক্যাসন কাত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকত। রোবট এই সমস্যাগুলো দূর করেছে।

বুদ্ধিমান ক্যাসন রোবটের সাহায্যে, নির্মাণ দল নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সেতুর জন্য মূল টাওয়ার ক্যাসন খননের কাজ শেষ করেছে। এর ফলে মূল টাওয়ারটি আরো শক্তভাবে স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

ছাংথাই ইয়াংজি নদীর সেতুটি এই বছরই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে ছাংথাই ও থাইচৌয়ের মধ্যে যাতায়াতের সময় কমে মাত্র ২০ মিনিটে নেমে আসবে।

See More

Latest Photos