পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন সংগীতশিল্পী আদনান সামি। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে— ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সব পাকিস্তানিকে দেশ ছাড়তে হবে। এর পরেই সাবেক পাক মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন— আদনান সামি কি ভারতেই থেকে যাবেন?
আদনান সামি কেন পাকিস্তান ছেড়ে ভারতের নাগরিকত্ব নেন





জন্মগতভাবে পাকিস্তানের মানুষ হলেও আদনান সামি ২০১৫ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের হয়েই সরব হয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন পাকিস্তানকে ত্যাগ করেছিলেন আদনান, তা জানালেন এ সংগীতশিল্পী।
২০২২ সালে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের নিন্দা করেছিলেন আদনান সামি। ভারতকে কেন ভালোবাসেন, তা-ও জানিয়েছিলেন এ সংগীতশিল্পী। আদনান বলেছিলেন, মানুষ আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে— কেন আমি পাকিস্তানকে পছন্দ করি না?
তিনি বলেন, সত্যিই বলছি— পাকিস্তানের যেসব মানুষ আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছেন, তাদের ওপর আমার কোনো রাগ নেই। আমাকে যারা ভালোবাসেন, তাদের সবাইকে আমি ভালোবাসি।
পাকিস্তান ছেড়ে আসার প্রসঙ্গে এ গায়ক বলেন, আমার পাকিস্তান সরকারকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানবেন— এই সরকার আমার সঙ্গে কী করেছে। পাকিস্তান ছেড়ে আসার এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।
কিন্তু পাক সরকার ঠিক কী করেছিল আদনানের সঙ্গে? সে প্রসঙ্গে আদনান বলেন, এক দিন আমি সব ফাঁস করে দেব। জানিয়ে দেব— ওরা আমার সঙ্গে কী কী করেছে। তিনি বলেন, অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। সাধারণ মানুষ শুনলে চমকে যাবে। বহু বছর আমি নীরব থেকেছি। কিন্তু সঠিক সময়ে আমি ঠিক বলে দেব।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তানি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন সংগীতশিল্পী আদনান সামি। দীর্ঘ দিন ভারতে ছিলেন তিনি। তাই সহজেই এই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। সে বছরই ডিসেম্বরে তিনি এ নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন।