সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু ছোঁয়া মনি (৭) হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় নিহতের ফুপাতো ভাই মো. মনিরুল ইসলাম জিহাদকে (২১) গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে রায়গঞ্জ আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের কাছে জিহাদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতার মনিরুল ইসলাম জিহাদ উল্লাপাড়া উপজেলার হাওড় গ্রামের মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে। নিহত ছোঁয়া মনি রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমুড়া গ্রামের সুমন শেখের মেয়ে। সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন জানান, ‘শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মনিরুল ইসলাম জিহাদকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ দিয়েছে’। তিনি আরো বলেন, ‘জিহাদ জানিয়েছে, গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে তার মামাতো বোন ছোঁয়া মনি মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছোঁয়া মনি ঘটনা তার বাবা-মাকে জানানোর কথা বললে জিহাদ তাকে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটের দেওয়ালে আছড়ে হত্যা করে এবং লাশ টয়লেটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়’।
ছোঁয়া মনিকে হত্যা করে ফুপাতো ভাই রায়গঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে





এসআই নাজমুল হক জানান, হত্যার পর জিহাদ বাড়ি ফিরে অন্যদের সঙ্গে ছোঁয়া মনিকে খোঁজার নাটক করে এবং মসজিদে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তার রক্তমাখা গেঞ্জি ও লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার বিকেলে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে ছোঁয়া মনির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদি মোছা. ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে জিহাদকে গ্রেফতার করেছে।