সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেই সাড়া ফেলে দিয়েছিল গুগলের নতুন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। এবার তাকে টেক্কা দিতে চলে এও আরও উন্নত জিপিটি-৪। যে সংস্থা চ্যাটজিপিটি তৈরি করেছে, সেই ওপেনএআই রিসার্চ কোম্পানিই এ নতুন চ্যাটবটের কারিগর। চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ঠিক কোন অংশে পার্থক্য এই নয়া চ্যাটবটের? কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও ভালভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারে। যে কোনও প্রশ্নের আরও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয়। শিক্ষা ও পেশার ক্ষেত্রে একেবারে মানুষের মতোই বুদ্ধি ধরে জিপিটি-৪। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় মাত্র ৩০ শতাংশ নম্বর পেয়ছিল চ্যাটবট। পরীক্ষায় ফেল করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই কারণেই সংস্থা বলে দিতে চেয়েছে, জিপিটি-৪-কে কোনও অংশেই হারানো যাবে না।
আত্মপ্রকাশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘জিপিটি-৪’ চ্যাটবট, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কোথায় তফাৎ?





আরও কয়েকটি পার্থক্য আছে এই দুই চ্যাটবটের। চ্যাট জিপিটি যেমন শুধু টেক্সট মেসেজ গ্রহণ করেই তার উত্তর দেয়। তবে নতুন চ্যাটবটটি টেক্সট ও ছবি- দুই গ্রহণ করতে পারে। ধরুন কোনও একটি ছবি আপনি চ্যাটবটে পাঠালেন। সেই ছবি সংক্রান্ত তথ্য কিংবা ছবির ক্যাপশনও বলে দেবে জিপিটি-৪। তাছাড়া যে সমস্ত ডকুমেন্টে টেক্সটের পাশাপাশি ছবি কিংবা ডায়াগ্রাম থাকবে- তারও বিশ্লেষণে সক্ষম এই চ্যাটবট। যদিও এই ফিচারটি আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছে। এ চ্যাটবটে একসঙ্গে ২৫ হাজার শব্দ ব্যবহার করা যায়।
এখানেই শেষ নয়, কোনও ইউজারের লেখার ধরন নকল করতে পারে জিপিটি-৪। এমনকী গানও লিখতে পারে। সব মিলিয়ে চ্যাটজিপিটিকে যে কড়া টক্কর দিতে চলেছে এটি, তা বলাইবাহুল্য। সূত্র: বিবিসি।