বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে “নদী ও পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে প্রত্যাশা” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Total Views : 47
Zoom In Zoom Out Read Later Print

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নদী পরিবেশ জলবায়ু ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইবনুল সাঈদ রানা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার বাংলা-এর সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্থার আন্দোলন এর সভাপতি জনাব হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, নদী ও পরিবেশ রক্ষা আজ আমাদের বেঁচে থাকার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু এই নদী এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। রাজনীতির কথা বললেই নদী ও পরিবেশের কথা আসে, নদীর কথা বললে রাজনীতির কথা আসে। নদী পরিবেশ রক্ষার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গিকার দরকার। এ অঙ্গিকার আদায়ের জন্যই আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর মাধ্যমে সারা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বার্তা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ড. হালিম দাদ খান, জাকিয়া শিশির, আনোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব গোলাম শফিক, রফিকুল আলম, কে এম এ জামিল, ফরিদুল ইসলাম, লামিয়া ইসলাম আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুন, নাহিদ মিয়া, নাছির উদ্দিন শেখ, সামিউল ইসলাম রাসু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নদী ও পরিবেশ বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবশ্যই নদী রক্ষা ও টেকসই পরিবেশের ইস্যুতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। যারা নদী ভরাট করবে তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আলোচনা শেষে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন— প্রতিটা রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক দপ্তর রাখার নিয়ম বাধ্যতামুলক করা সহ ১. দলের কোন সংসদ জনপ্রতিনিধি নদী দখল কিংবা পরিবেশের জন্য হুমকি এমন কোন কাজে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২. আন্তসীমান্ত নদীর সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় সরকারকে পরামর্শ দেয়া। ৩. চায়না দুয়ারী জাল সহ অবৈধ সব ধরনের বিদেশী জাল নিষিদ্ধ করতে হবে। ৪. নদী ও পরিবেশ বিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন পরিবেশ বন মৎস্য নৌ পরিবহন ও বাংলাদেশ হাওড়া জেলা ভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয় নদী-রক্ষক কমিশন এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারি বাড়াতে হবে।


See More

Latest Photos