বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০ বছরের নির্বাসনের পর দেশে ফিরছেন। এটি এমন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যখন দেশটি ২০২৬ সালের সংসদীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ নির্বাচন হিসেবে দেখছেন। তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে, দীর্ঘ সময় লন্ডনে নির্বাসনে ছিলেন। এবার তিনি দেশে ফিরছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য। বিএনপি আশা করছে, এই নির্বাচনে তারা জয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, যা অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে।
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ঐতিহাসিক নির্বাচনে অংশ নিতে





২০১০-এর দশক এবং পরবর্তীতে তারেক রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলা ও অভিযোগের মুখোমুখি হন। ২০০৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে জীবনদণ্ড প্রদান করা হয়। ২০০৮ সাল থেকে তিনি লন্ডনে নির্বাসিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে বিএনপি নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেন।
গত বছর, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে দেশটিতে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হয়। এই শূন্যতা পূরণে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার নেতৃত্ব দেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সময় আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয় এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উৎখাতের পর তারেক রহমানের উপর থাকা সব অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এখন তিনি দেশে ফিরবেন এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনে অংশ নেবেন। তারেক রহমান বিবিসি বাংলার সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সময় এসেছে, ইনশাআল্লাহ, আমি শিগগিরই ফিরে আসব। এটি এমন একটি নির্বাচন, যার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছিল।”
তারেক রহমানের মা, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া, বর্তমানে অসুস্থ। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন কি না তা এখনও অনিশ্চিত। তবে তারেক বলেছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে তিনি নির্বাচনে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন। তথ্যসূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট