বর্তমান সরকারের অদুরদর্শিতা ও এক ঘেয়েমির কারনে রাজস্ব আদায়ে বড় বাধা, আয়কর আইনজীবিগন মহাসংকটে।

Total Views : 146
Zoom In Zoom Out Read Later Print

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অন লাইনে রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে দুর্নীতি বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তার জন্যে আয়কর আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। রাজস্ব বোর্ডের নিকট এমন ডাটা আছে কিনা যে, আয়কর আইনজীবীরা সারা দেশে মাএ 20% হতে 30% আয়কর মামলার প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু বাকি 70% আয়কর মামলার প্রতিনিধিত্ব কারা করেন তা কি রাজস্ব বোর্ডের জানা আছে? এই 70% আয়কর মামলা ইতি পূর্বে যারা করতেন, এখনও তারাই করদাতার সহিত যোগাযোগ করে অন লাইনে রিটার্ন দাখিল করছেন।


 রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সাহেব আপনি কখনও দুর্নীতি নির্মূল  করতে পারবেন না। আপনাদের এমন প্রজেক্ট এবং এই ফর্মুলাতে কৃতকার্য হবেন না । তবে আমার সামান্যতম প্রস্তাব যদি রাজস্ব বিভাগ থেকে দুর্নীতি দুর করতে চান তাহলে ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য বিভাগের সিনিয়র আয়কর আইনজীবীগনের সহিত আলোচনার মাধ্যমে পরামর্শ গ্রহণ করেন। আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে উভয় পদ্ধতি 2 বা 3 বছর রাখেন। আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্যে করদাতাদের Fundamental Right খর্ব না করার জন্যে আইনি পরামর্শ গ্রহণ করেন। নতুন আইটিপিদেরকে অন লাইন  ও অফ লাইন রিটার্ন দাখিলের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দরকার আছে। আমরা তাই করছি।  present ITP গন TRP এর বিকল্প। অপ্রিয় সত্য কথা যা বাংলাদেশের আয়কর আইনজীবীগনের জানা আছে যে  রাজস্ব বোর্ডের ইতিপূর্বেকার জঘন্য চেয়ারম্যানের TRP নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্যে আমরা একত্রিত হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালানোর এক পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড TRP নিয়োগ দেওয়া থেকে সরিয়ে এসেছেন। তাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছিল।  

রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সাহেব দুর্নীতি জিরুতে নামানোর জন্যে 100% আয়কর রিটার্ন অন লাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করেছেন এবং 20%  আয়কর মামলা অডিটের জন্যে নির্বাচিত করবেন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাতে অডিটের বাহিরে থাকা বাকি 80% আয়কর মামলাতে সরকারের হিউজ পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি হবে। কিন্তু রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সাহেবের এমন জঘন্য সিদ্ধান্তের জন্যে রাষ্ট্র পূর্বের মতো রাজস্ব পাবেন না। দালাল চক্র করদাতাদের যে মানসিকতা পূর্ব থেকে তৈরি করে রেখেছেন তাতে অনেক করদাতারা তারা কিছু কিছু আয়কর রিটার্ন গত বছরের ন্যায় যেমন তেমন ভাবে অন লাইনে শূন্য রিটার্ন দাখিল করিতেছেন । সরকার একমাত্র ভ্যাট থেকে দৈনন্দিন রাজস্ব আহরণ করে থাকেন যা দিয়ে রাষ্ট্রের খরচের চাহিদা পূরণ করতেছেন।  উল্লেখ্য সরকার প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠছেন। সরকারের উচিত কর অঞ্চল ও কর সার্কেল বৃদ্ধির সাথে সাথে জনবল সৃষ্টি করা এবং করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যে এলাকা এলাকা, জেলা ও উপজেলা সার্ভেটীম এর মাধ্যমে সার্ভে করিয়ে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি সন্তোষজনক করা এখন পবিত্র দায়িত্ব। দেশে এম এ পাশ 27 লাক বেকার। এই বেকারত্বের কারনে টেনশনে অনেক যুবকেরা মাদক আসক্ত হয়ে পড়ে ছেন। আরেক শ্রেনীর মানুষ দেশে মাদকের চালান ঢুকাইতেছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হচ্ছেন। দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রাহাজানি সর্বএ বিরাজমান।  দ্রব্য মূল্য সহনশীল নহে। দেশে প্রচুর অপ্রদর্শিত গাড়ি বাড়ি, ফ্ল্যাট এফডিআর ইত্যাদির রয়েছে। এসব বিনিয়োগ ইতিপূর্বের মতো বর্তমান সরকারের উচিত 5%, 7%,8%10% কর নিয়ে বৈধ অপ্রদর্শিত বিনিয়োগ প্রদর্শনের সুযোগ দিলে ঐ ধরনের বিনিয়োগ গুলো সরকারের রাজস্বের নেটে চলে আসবে। ফলে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব পাবেন। গত কবছরে নানাহ জটিলতার কারনে দেশি বিদেশী  বিনিয়োগ তেমন হয়নি। শেয়ার বাজার ধ্বংস, ব্যাংক খ্যাত লুঠপাট, টাকা পাচার, এক শ্রেনীর দালালদের কারনে বিদেশে জন শক্তি রপ্তানি জটিলতার মুখে । অপর দিকে গত সরকারের আমলে ব্যাংক লোনের মাধ্যমে যেসকল শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছিল সেগুলি রাজনৈতিক জটিলতার কারনে বন্ধ ফলে চাকরি হারিয়ে শ্রমিক বেকার। সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে ব্যাংক লোনের টাকা আদায় করতে পারছে না ফলে ব্যাংকে পাবলিক ডিপোজিট নাই বললেই চলে। আইনজীবীদের বাহিরে যারা পূর্বে থেকেই 70% আয়কর মামলা করে থাকেন তারা চায় না নতুন জুনিয়র আইনজীবীরা খেয়ে পরে বেঁচে থাকুক।  সিনিয়র আইনজীবীগন সকল বিষয়ে পূর্ব থেকেই অকিবহাল কিন্তু ওনারা কখনও জুনিয়র আইনজীবীদের জীবন উন্নতি হোক, সুখে শান্তিতে থাকুক ঐ বিষয়ে চুপ চুপ।  অপর দিকে রাজস্ব বিভাগে চাকরি হারানো আর বদলীর আতংক বিরাজমান।  ফলে রাজস্ব দাবী ও আদায় সন্তোষজনক নহে ফলে আগামীর নতুন সরকার দেশ চালাতে অর্থ সংকট পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। আবার আগামী নতুন সরকার এক কোটি মানুষের চাকরির সুযোগ দিবেন বলে ওয়াদাবদ্ধ । কিন্তু কিভাবে যা সম্ভব হবে? দেশের বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদেরকে আইটি বা কারিগরী ভাবে শিক্ষিত করে বিদেশে প্রেরণ করা এখন সময়ের দাবী তা নাহলে যুবকদেরকে রক্ষা করা অসম্ভব হবে। সরকার লোনের সাহায্যে গরীব বেকার শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের কোথাও আর যেন কোন রকম অপরিকল্পিত প্রজেক্ট গ্রহণ না করা হয়। সরকারের উচিত আয়কর আইন 2023 এ নানাহ ভুল ত্রুটি সমুহ অতিসওর সংশোধন করন একান্তই দরকার এবং বিদেশী বিনিয়োগকারিদের জন্যে ইংরেজিরতে আয়কর ও ভ্যাট আইন প্রস্তুত করন সময়ের দাবী । সরকার বাংলাদেশ সংবিধানের 109 অনুচ্ছেদ অনুসরে ট্যাক্সেস আপীলাত ট্রাইবুনাল ও ভ্যাট ট্রাইবুনালকে মহামান্য হাইকোর্টের অধীন বলে স্বীকার করা এবং সে মোতাবেক ট্রাইবুনালের বেঞ্চ সমুহ পরিচালিত করা এবং এ বৈষম্যের অবসান নিরশন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে জনগনের ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠা করা। যেহেতু ট্রাইবুনালে জেলা জজ নিয়োগ প্রাপ্ত সেহেতু এই আদালতকে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রেরণ করা সময়ের দাবী এবং সকল বেঞ্চে জেলা জজ নিয়োগ দিয়ে বৈষম্যে দুর করা একান্ত দরকার । অপর দিকে ADR এ নিয়োগ প্রাপ্ত Facilitator সাহেবদের মামলার বিচারে নিজের মতামত প্রকাশের ক্ষমতা প্রদান করা একান্ত দরকার ।  তানাহলে ADR খুব তাড়াতাড়ি বিলুপ্ত হয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সরকার ইতিপূর্বেও  Settlement Commission কে নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে মামলার ন্যায্য বিচার কার্য পরিচালনার মক্ষতা দিয়েছিলেন। এডঃআববাস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েসন।

See More

Latest Photos