বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন ৪ কর্মসূচি নিয়ে মে মাসে মাঠে নামছে

Total Views : 15
Zoom In Zoom Out Read Later Print

দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর বিভাগে ভাগ করে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আগামী মে মাসে ৪টি বিশাল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

এ বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি সেই বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি, যেটি ফ্যাসিবাদের রক্তক্ষয়ী সময়ে সবচেয়ে বেশি গুম-খুন, হামলা-মামলা, ও নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই সংগ্রামী ধারাবাহিকতায়, সকল শ্রেণি-পেশার গণতন্ত্রকামী মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ— যেখানে হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ।

আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি এক সম্ভাবনাময় বাস্তবতায় — একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও জনগণের মালিকানাধীন রাষ্ট্র গঠনের সংকল্পে — যেখানে থাকবে গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা, এবং যার ভিত্তি হবে সাম্য, ন্যায়বিচার এবং টেকসই উন্নয়ন।

এই লক্ষ্য সামনে রেখে বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ সারা দেশে ছুটে যাচ্ছে জনগণের দুয়ারে, তৈরি করছে গভীর জনসম্পৃক্ততা। বিশেষভাবে, দেশের তরুণ সমাজের আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা ও সৃজনশীলতাকে রাষ্ট্রগঠনের চালিকাশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একযোগে কাজ করে চলেছে।


আমরা চাই— দেশব্যাপী বিস্তৃত সাংগঠনিক কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে কোটি-কোটি তরুণ-তরুণীর জীবনে আশার আলো জ্বালাতে, যাতে তাঁদের জীবনের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, সমস্যার সমাধান ঘটে, এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উন্নয়ন ঘটে। 

আমাদের লক্ষ্য কেবল একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ নয়, বরং একটি উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী তথা জনবান্ধব সরকার ব্যবস্থার প্রয়াস। যেখানে তরুণরা কেবল ভোটার নয়, বরং আগামীর নীতিনির্ধারক, চিন্তাশীল অংশীদার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামোর নির্মাতা।

এই প্রেক্ষাপটে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের একটি অভূতপূর্ব ও জনসম্পৃক্ত নির্দেশনায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর বিভাগে ভাগ করে গ্রহণ করেছে একটি সমন্বিত ও গতিশীল কর্মসূচি।

আমাদের লক্ষ্য তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ, সৃজনশীলতার বিকাশ, এবং তৃণমূল পর্যায়ে সার্বজনীন উন্নয়নের বাস্তবসম্মত মডেল গড়ে তোলা।

আমরা প্রতিটি বিভাগে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি আয়োজন করতে যাচ্ছি। প্রথম দিন একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যার শিরোনাম ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ।’

এই সেমিনারে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে, গণতন্ত্রকামী সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, উদীয়মান চিন্তাবিদ, তরুণ বক্তা ও উদ্যোক্তারা অংশ নেবেন। আলোচনায় উঠে আসবে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, নগরায়ন, প্রযুক্তি ও রাজনৈতিক অধিকার, এবং তারুণ্যের ক্ষমতায়নে একটি আধুনিক, মানবিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ নির্মাণ।

এই প্ল্যাটফর্ম হবে একটি উন্মুক্ত ও যুক্তিনির্ভর সংলাপের ক্ষেত্র, যেখানে মতবিনিময় হবে গঠনমূলক, পর্যালোচনামূলক এবং ভবিষ্যতমুখী।

সংলাপের ভিত্তি হবে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলসমূহ ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা, এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত দিকনির্দেশনা ও রাজনৈতিক দর্শন।

কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে, যার উদ্দেশ্য একটি প্রাণবন্ত, উদ্দীপনাময় পরিবেশে তরুণদের সরব উপস্থিতি তথা ঐক্য, প্রত্যয় ও আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ নিশ্চিত করা। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে যেন আর কখনো কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জুলাই-আগস্টের গণহত্যার যেন দ্রুত বিচার নিশ্চিত হয়, সার্বভৌম বাংলাদেশে যেন গণমানুষের স্বাধীনচেতা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটে, সাম্য ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের যেন পরিবর্তন ঘটে — সেটিই আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য।

রুম্মান শারমিন স্নেহা


See More

Latest Photos