সরকারের জারি করা বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের খালি প্লেট নিয়ে ভুখামিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।
'খালি প্লেট' মিছিল আটকে দিল পুলিশ: হাইকোর্ট মোড়ে শিক্ষক-পুলিশ মুখোমুখি





মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ রবিবারও (১৯ অক্টোবর) তাঁদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। বেলা সোয়া তিনটায় তাঁরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে 'ভুখামিছিল' শুরু করেন, কিন্তু হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশ তাতে বাধা দিলে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মিছিলে অংশ নেন হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে শতাধিক পুলিশ সদস্য এবং ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল চারটা) হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি জলকামান ও সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
৫ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান
শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে অষ্টম দিনের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালেও, শিক্ষক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মিছিল শুরুর আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী। তিনি সরকারের ৫ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রজ্ঞাপনকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, "আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, এটা আমরা মানি না। আমরা মনে করি, এটা আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না।"
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক ও সমর্থন
শিক্ষকদের ভুখামিছিলটি দুপুর ১২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণে তা শুরু হতে দেরি হয়।
এই বৈঠকের প্রসঙ্গে দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, "আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি, বিএনপি এই দাবির প্রতি একমত পোষণ করে।" তিনি আরও জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন যে শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে বিএনপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
বিক্ষোভে উত্তাল স্লোগান
বাধার মুখে শিক্ষক-কর্মচারীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল: 'হয়তো দাবি মেনে নে, নয়তো বুকে বুলেট দে', '৫%–এর প্রজ্ঞাপন, মানি না মানব না' এবং 'প্রহসনের প্রজ্ঞাপন, মানি না, মানব না'।